নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম গোয়েন্দা’র অভিযানে চকরিয়া ও পটিয়া থেকে ১৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৪ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারী) চকরিয়া ও পটিয়া থেকে তাদের কে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন,
১।মোঃ রফিক (২০), পিতা : আব্দুল্লাহ বর্তমান সাং- কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী রেজিষ্টার্ড ক্যাম্প ২, ব্লক –ই, এফসিএন নং- ৩০৫০৬৪ থানা: উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার ।
২।নুরুল আমিন (২০), পিতা : নুর মোহাম্মদ, বর্তমান সাং – কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী রেজিষ্টার্ড ক্যাম্প -২,ব্লক –ই এফসিএন নং- ১৩০৪৮২ থানা- উখিয়া,
৩।মোঃ হামিদুর রহমান, পিতাঃ ফয়েজুল ইসলাম, মাতাঃ ছমদা বেগম,
৪। মোঃ আব্দুল্লাহ (১৫), পিতাঃ মোঃ বশর, মাতাঃ মৃত নাজমা বেগম; উভয় সাংঃ বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-০৯, ব্লক/ডি -০২, সাইড মাঝিঃ জাহাঙ্গীর, হেড মাঝিঃ শুক্কুর, থানাঃ উখিয়া।
চট্টগ্রাম জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হুমায়ুন কবির খন্দকার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিদর্শক এস এম আলম খান এর নেতৃত্বে একটি গোয়েন্দার টিম চকরিয়া থানাধীন চট্টগ্রাম -কক্সবাজার সড়কের ফাঁসিয়াখালী ফরেস্ট চেকপোস্টে উক্ত ২ জন রোহিঙ্গা কে আটকপূর্বক ১ নং আসামীর ডান হাতে রক্ষিত গাড়ীর পরিত্যক্ত লোহার যন্ত্রাংশের মধ্যে হতে বিশেষ ভাবে রক্ষিত অবস্থায় একটি পলিব্যাগের মধ্যে হতে ১০ হাজার পিস মিথাইল এ্যামফিটামিন মিশ্রিত ইয়াবাসহ সহকারে হাতেনাতে তাদের গ্রেফতার করে।
অন্য দিকে অপর একটি পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম (খ-সার্কেল, পটিয়া) এর একটি টিম পটিয়া থানাধীন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কমল মুন্সীরহাট হতে সন্ধ্যা প্রায় ০৭ঃ১৫ ঘটিকায় ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ মোঃ হামিদুর রহমান ও মোঃ আবদুল্লাহ কে গ্রেফতার করে পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সে চট্টগ্রাম শহরে ইয়াবাগুলো পাচার করতেছিল।
আসামীগণ পরস্পরের সাহায্য ও সহযোগীতায় ইয়াবা সরবরাহ ও বিক্রয় করে। আসামীদের বিরুদ্ধে ইয়াবা সংরক্ষণ ও ধারনের অপরাধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন,২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় চকরিয়া থানায় ১টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।